ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাই সরকারের মূল লক্ষ্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬৩৪ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, বিভেদ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাই তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জাতীয় উপাসনালয় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মন্দিরের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
পরে সবাইকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘বড় রকমের একটি বিভেদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাচ্ছি, যেটা একটা পরিবার, এটাই হচ্ছে মূল জিনিস। এই পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করার প্রশ্নই আসে না।

আমরা বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশি।’
ন্যায়বিচার হলে সবাই বিচার পাবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ন্যায়বিচার হলে কে বিচার পাবে না, এটা আমাকে বলেন? এটা কি দেখার সুযোগ আছে? কে কোন ধর্মের, কোন জাতের, কোন সম্প্রদায়ের। এটা কি আইনে বলা আছে যে এই ধর্মের, এই সম্প্রদায়গুলো এই আদালতে যাবে, ওই সম্প্রদায়গুলো অন্য আদালতে যাবে? আইন একটা, কার সাধ্য আছে এখানে বিভেদ করে?’

সবাইকে ধৈর্য ধরে সরকারকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনারা বলবেন যে আমরা মানুষ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার এই, এটা আমাকে দিতে হবে।

সব সরকারের কাছে এটাই চাবেন আর কিছুই চাবেন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ, এক অধিকার, এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। আমাদের একটু সাহায্য করুন আপনারা, ধৈর্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না, সেটা পরে বিবেচনা করবেন।’
এ সময় ৫৩ বছরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিচারে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাই সরকারের মূল লক্ষ্য

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, বিভেদ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাই তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জাতীয় উপাসনালয় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মন্দিরের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
পরে সবাইকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘বড় রকমের একটি বিভেদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাচ্ছি, যেটা একটা পরিবার, এটাই হচ্ছে মূল জিনিস। এই পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করার প্রশ্নই আসে না।

আমরা বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশি।’
ন্যায়বিচার হলে সবাই বিচার পাবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ন্যায়বিচার হলে কে বিচার পাবে না, এটা আমাকে বলেন? এটা কি দেখার সুযোগ আছে? কে কোন ধর্মের, কোন জাতের, কোন সম্প্রদায়ের। এটা কি আইনে বলা আছে যে এই ধর্মের, এই সম্প্রদায়গুলো এই আদালতে যাবে, ওই সম্প্রদায়গুলো অন্য আদালতে যাবে? আইন একটা, কার সাধ্য আছে এখানে বিভেদ করে?’

সবাইকে ধৈর্য ধরে সরকারকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনারা বলবেন যে আমরা মানুষ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমার সাংবিধানিক অধিকার এই, এটা আমাকে দিতে হবে।

সব সরকারের কাছে এটাই চাবেন আর কিছুই চাবেন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ, এক অধিকার, এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। আমাদের একটু সাহায্য করুন আপনারা, ধৈর্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না, সেটা পরে বিবেচনা করবেন।’
এ সময় ৫৩ বছরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিচারে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠ নেতারা।