ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : জাতিসংঘ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিধিবহির্ভূতভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন। তার গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও আখ্যায়িত করেছে তারা।
জেনেভা-ভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন অরবিট্রারি ডিটেনশন গত সোমবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণের প্রয়োগযোগ্য অধিকার দেওয়া যথাযথ প্রতিকার হতে পারে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইমরান খানকে আটকের কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না।
তাকে রাজনৈতিক কারণে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। সুতরাং শুরু থেকেই এই বিচারটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওয়ার্কিং গ্রুপ গত ২৫ মার্চ তাদের এই মতামত দিলেও তা প্রকাশ করা হয় সোমবার।
সংস্থাটির মতে, ইমরান খান এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে বড় ধরনের দমন অভিযান চালানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে পিটিআই নেতাদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং তাদের সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে ‘ব্যাপক জালিয়াতি’ এবং ‘সংসদীয় আসন চুরি’ করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০২:৩০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিধিবহির্ভূতভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন। তার গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও আখ্যায়িত করেছে তারা।
জেনেভা-ভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন অরবিট্রারি ডিটেনশন গত সোমবার (১ জুলাই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণের প্রয়োগযোগ্য অধিকার দেওয়া যথাযথ প্রতিকার হতে পারে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইমরান খানকে আটকের কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না।
তাকে রাজনৈতিক কারণে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। সুতরাং শুরু থেকেই এই বিচারটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওয়ার্কিং গ্রুপ গত ২৫ মার্চ তাদের এই মতামত দিলেও তা প্রকাশ করা হয় সোমবার।
সংস্থাটির মতে, ইমরান খান এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে বড় ধরনের দমন অভিযান চালানো হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে পিটিআই নেতাদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং তাদের সমাবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে ‘ব্যাপক জালিয়াতি’ এবং ‘সংসদীয় আসন চুরি’ করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন গত ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা