ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপর্যয়ের মুখে পোস্তা, অর্ধশত চামড়ার ট্রাক দেখে খেই হারান আড়তদাররা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪
  • / ৫৭২ বার পড়া হয়েছে

কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে নয় বছর পর আবার বিপর্যয়ের মুখে পুরান ঢাকার পোস্তা। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ সোমবার রাত ১০টার পর সরকারি নির্দেশনা ভেঙে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে পোস্তায় ঢুকে পড়ে কাঁচা চামড়াভর্তি ৫০-৬০টি ট্রাক। এতে খেই হারিয়ে ফেলেন আড়তদাররা। কেন এমন হলো? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি রাতে পোস্তায় পরিদর্শনে আসা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকও।

প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানি ঈদের দিন বিকেলে পুরান ঢাকার পোস্তায় বাড়তে থাকে পশুর চামড়া সংরক্ষণের ব্যস্ততা। ট্রাকে, ভ্যানে ও পিকআপে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মূল্যবান এ সম্পদ নিয়ে আসেন মাদরাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধি এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতারা প্রত্যাশামতো দাম না পাওয়ার অভিযোগ তুললেও আড়তদারদের দাবি, বেঁধে দেয়া দামেই চামড়া কিনছেন তারা।

রাত ১০টার পর হঠাৎ পাল্টে যায় পোস্তার স্বাভাবিক দৃশ্য। জটলা বাঁধে ৫০-৬০টি ট্রাকের, যেগুলো এসেছে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে। ধারণার বাইরে সরকারি নির্দেশনা ভেঙে এভাবে ঢাকায় চামড়া ঢোকায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন আড়তদাররা। কীভাবে এসব চামড়া কিনবেন, কোথায় রাখবেন — এমন সিদ্ধান্ত হীনতার মধ্যেই গুণগত মান হারাতে থাকে এসব ট্রাকে থাকা পশুর কাঁচা চামড়া। ফলে এর মাশুল গুনতে বাধ্য হন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দ্রুত সাভারে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয় সংশ্লিষ্টদের। আর এ সুযোগে দাম কমিয়ে দেন আড়তদাররা। ৮০০-১০০০ টাকার চামড়া ৬০০ টাকা, আর ৬০০ টাকার চামড়ার দাম ৪০০ টাকায় নেমে যায়। এর মধ্যে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী এ দামে চামড়া দিয়ে চলে যান।

এ সময় উপস্থিত ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত থাকলেও এসব ট্রাক ঢুকেছে নির্দেশনা অমান্য করেই। তারা পথে কোন বাধা পায়নি। বিষয়টি শিল্প সচিব ও বাণিজ্য সচিবকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, হঠাৎ করে এতো ট্রাক এসে পড়ায় ভিড় সামলাতে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চামড়া দ্রুত সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি আফতাব খান বলেন, এসব চামড়া যেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ঘুরিয়ে সেখানে নিয়েই লবণজাত করতে হবে।

তবে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরী ও পাশের আড়তগুলোতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিপর্যয়ের মুখে পোস্তা, অর্ধশত চামড়ার ট্রাক দেখে খেই হারান আড়তদাররা!

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ নিয়ে নয় বছর পর আবার বিপর্যয়ের মুখে পুরান ঢাকার পোস্তা। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ সোমবার রাত ১০টার পর সরকারি নির্দেশনা ভেঙে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে পোস্তায় ঢুকে পড়ে কাঁচা চামড়াভর্তি ৫০-৬০টি ট্রাক। এতে খেই হারিয়ে ফেলেন আড়তদাররা। কেন এমন হলো? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি রাতে পোস্তায় পরিদর্শনে আসা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালকও।

প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানি ঈদের দিন বিকেলে পুরান ঢাকার পোস্তায় বাড়তে থাকে পশুর চামড়া সংরক্ষণের ব্যস্ততা। ট্রাকে, ভ্যানে ও পিকআপে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মূল্যবান এ সম্পদ নিয়ে আসেন মাদরাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধি এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতারা প্রত্যাশামতো দাম না পাওয়ার অভিযোগ তুললেও আড়তদারদের দাবি, বেঁধে দেয়া দামেই চামড়া কিনছেন তারা।

রাত ১০টার পর হঠাৎ পাল্টে যায় পোস্তার স্বাভাবিক দৃশ্য। জটলা বাঁধে ৫০-৬০টি ট্রাকের, যেগুলো এসেছে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে। ধারণার বাইরে সরকারি নির্দেশনা ভেঙে এভাবে ঢাকায় চামড়া ঢোকায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন আড়তদাররা। কীভাবে এসব চামড়া কিনবেন, কোথায় রাখবেন — এমন সিদ্ধান্ত হীনতার মধ্যেই গুণগত মান হারাতে থাকে এসব ট্রাকে থাকা পশুর কাঁচা চামড়া। ফলে এর মাশুল গুনতে বাধ্য হন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দ্রুত সাভারে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয় সংশ্লিষ্টদের। আর এ সুযোগে দাম কমিয়ে দেন আড়তদাররা। ৮০০-১০০০ টাকার চামড়া ৬০০ টাকা, আর ৬০০ টাকার চামড়ার দাম ৪০০ টাকায় নেমে যায়। এর মধ্যে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী এ দামে চামড়া দিয়ে চলে যান।

এ সময় উপস্থিত ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত থাকলেও এসব ট্রাক ঢুকেছে নির্দেশনা অমান্য করেই। তারা পথে কোন বাধা পায়নি। বিষয়টি শিল্প সচিব ও বাণিজ্য সচিবকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, হঠাৎ করে এতো ট্রাক এসে পড়ায় ভিড় সামলাতে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চামড়া দ্রুত সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি আফতাব খান বলেন, এসব চামড়া যেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ঘুরিয়ে সেখানে নিয়েই লবণজাত করতে হবে।

তবে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরী ও পাশের আড়তগুলোতে।